পুঠিয়ায় ধোপাপাড়া বিএনপি নেতার হাতে জখম বিএনপি’র আরেক নেতা থানায় অভিযোগ
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার পূর্ব ধোপাপাড়া (বাঙালপাড়া) গ্রামে শ্যামল কুমার সরকার নামের এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর ও মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগসূত্র ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় যে, উপজেলার বাঙ্গালপাড়ার হিন্দু পাড়ায় শ্যামল কুমার সরকার, পিতা নরেশ সরকার স্থানীয় বাজারের এক চা স্টলে বসে ছিলেন। স্থানীয় হাড়োখালি এলাকার বিএনপি’র নেতা জয়নাল আবেদিনের নির্দেশে শ্যামল কুমার সরকারকে স্থানীয় আরেকটি দোকানে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। মারধরের শিকার ভুক্তভোগী শ্যামল কুমার সরকার গতকাল চিকিৎসা নিয়ে নিজেই বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও মারধরের শিকার শ্যামল কুমার সরকারের লুঙ্গির ভাঁজে (মড়ার) মধ্যে জমি বন্ধক রাখা এক লক্ষ টাকা, কে বা কারা ঘটনার সময় ছিনিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম, নওহাটা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক তিনি বলেন, শ্যামল কুমার সরকারকে জয়নাল আবেদীন নামের ওই ব্যক্তি সহ বেশ কয়েকজন মিলে বেধড়ক পিটিয়েছে। যার ফলে তার মেডিকেলে ভর্তি হতে হয়েছে। আব্দুল গনির ছেলে, স্বাধীন সহ কয়েকজন ব্রেঞ্চ দিয়ে শ্যামলকে আঘাত করে, পরে শ্যামল কুমার সরকার মাটিতে লুটিয়ে পড়লে, তার মাথায় ও মুখে আবারো আঘাত করা হয়, এক পর্যায়ে তারা তার নাক ফাটিয়ে দেয়, যার কারণে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। নাকে বেশ কয়েকটি সেলাইও দেওয়া হয়েছে।
মারধরের শিকার শ্যামল কুমার সরকার তিনি বলেন, জয়নালসহ বেশ কয়েকজন এসে আমার কাছে জমি বন্ধক রাখা টাকা চায় আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে বলে তুই কেন জয়নালের বিরুদ্ধে কথা বলেছিস এই বলেই কিছু বুঝে ওঠার আগে আমার উপর মারধর শুরু করে। আমার নাকের উপর ভীষণ জোরে আঘাত করার পর আমি সেখানে বেহুশ হয়ে পড়ে যাই এবং পুরো শরীর রক্তে ভিজে যায়। আমার কাছে জমি বন্ধক রাখা টাকা ছিল পরে সে টাকা আমি আর পাইনি। এমনটাই বলছিলেন মারধরের শিকার শ্যামল কুমার সরকার।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। শুধু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। কারো হাতের নখ লেগে হয়তো শ্যামলের নাক কেটে গেছে। ব্রেঞ্চ দিয়ে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফারুক হোসেন তিনি বলেন, বিষয়টি শুনেছি এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য যে, অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীন (সাবেক) বিএনপির পুঠিয়া থানার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, বর্তমানে তিনি জিউপাড়া ইউনিয়ন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। এবং মারধরের শিকার শ্যামল কুমার সরকার তিনিও জিউপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ © নলডাঙ্গা বার্তা