হরিণাকুন্ডুতে স্কুল শিক্ষার্থীকে ফুটন্ত টগবগে পানিতে ঝলসে দিলো ভণ্ড কবিরাজ,,থানায় অভিযোগ!!
স্টাফ রিপোর্টার মোঃ জয় সরকার।
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ভন্ড কবিরাজের অবলীলায় ঝলসে গেলো নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর শরীর। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার কাউন্সিল পাড়ার আরিফুল ইসলামের কন্যা। এ ঘটনায় হরিণাকুণ্ডু থানায় উপস্থিত হয়ে আরিফুল ইসলাম একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন থানা পুলিশ।
স্থানীয় থানা পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, ভন্ডকবিরাজ সায়েদ আলী(৫৫) দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ কবিরাজি করে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি করে আসছে। স্থানীয়ভাবে অনেকবার অনেক গ্রাম্য শালিস মিমাংসা হলেও আজ অবদি আইনের আওতায় আসে নাই।এব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় শিক্ষার্থীর পিতা আরিফুল ইসলাম জানান,আমার মেয়ের উপদৃষ্টির ভাব হলে আমি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু পৌরসভা সংযুক্ত শুড়া গ্রামের সায়েদ আলী নামের কবিরাজের নিকট আসি, তিনি প্রথমে আমার কণ্যাকে ঝাড়ফুক ,পানি পড়া দিয়ে চিকিৎসা করতে থাকে। কোন প্রকার উন্নতি না হওয়ায় ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে চিকিৎসা করাতে গেলে আমি ও আমার সাথে থাকা মামুন বাধাদিতে গেলে আমাদেরও পানিপড়া খাওয়ায়ে অঙ্গান করে আমার কণ্যাকে শারিরীক নির্যাতিত করেন।
আমার কণ্যার চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে প্রাথমিকভাবে হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এছাড়াও ভন্ডকবিরাজ সায়েদ আলীর বিরুদ্ধে সুন্দরী যুবতী মেয়েদের শারিরীক সম্পর্ক করে নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন ভন্ড কবিরাজদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।
এব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি তদন্ত আক্তারুজ্জামান লিটন জানান,থানায় লিখিত অভিযোগ আসার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে কঠিন থেকে কঠিনতর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ © নলডাঙ্গা বার্তা