1. admin@naldangabatra.com : admin :
শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নীলফামারীতে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে পিতাকে, ১২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার পাষন্ড ছেলে। নৌকা মনোনীত প্রার্থী “আবুল কালাম আজাদকে”ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বাগমারাবাসী। কেউ ঠান্ডায় জবুথবু তবুও রুই, কাতলা, বোয়াল, চিতল, শোল, গজার মাছ ধরতে রুহুল বিলে হাজারো মানুষ ভিড়। নওগাঁয় রাস্তার পাশ থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার। নওগাঁর আত্রাই ডাসকো ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সংলাপ সভা অনুষ্ঠিত শিশু শিক্ষায় জাগ্রত বেঙ্গল স্টার এ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন আবেদ আহমেদ। শার্শা প্রেসক্লাব নবনির্বাচিত কমিটির সদস‍্যবৃন্দকে ফুলের শুভেচ্ছা বাগমারা’য় দলীয় এমপি প্রার্থী (আবুল কালাম আজাদ) এর মনোনয়ন ফরম উত্তোলন। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিতদের সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে উৎসাহ প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আনন্দ মিছিল। রাজশাহীর দুর্গাপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে নারী আ’ত্মহ’ত্যা, ও মরদেহ দেখতে গিয়ে প্রতিবেশী আরেক নারীর মৃত্যু!

ট্রলারে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, মহেশখালী থেকে দুইজন গ্রেপ্তার

নলডাঙ্গা বার্তা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩
বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে ভাসমান ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ১০ জনকে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
৫৮ বার পঠিত

ট্রলারে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, মহেশখালী থেকে দুইজন গ্রেপ্তার

আবদুর রহিম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ

বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে ভাসমান ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ১০ জনকে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দুজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানান কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুল ইসলাম।গত ২৩ এপ্রিল কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টে ভাসমান ট্রলারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অর্ধগলিত ওই ১০ মরদেহ উদ্ধার কর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। পুলিশ সুপার জানান, যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের একজন ছিলেন শামসুল ইসলাম। তার স্ত্রী রোকেয়া আক্তার বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। কক্সবাজার সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলায় বাইট্টা কামালকে প্রধান ও করিম সিকদারকে চার নম্বর আসামি করা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মাহফুজুল ইসলাম আরও জানান, মহেশখালীর মাতারবাড়ি ও আশপাশের এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ১০ জনকে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। অধিকতর তদন্তের স্বার্থে দুইজনকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাইবে পুলিশ। রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা পুলিশের।নিহত ১০ জন জলদস্যু ছিলেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে নিহত শামসুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক ও নুরুল কবিরের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা রয়েছে। সব কিছু মাথায় নিয়ে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

স্বজনদের দাবি, ভাসমান ট্রলারটির মালিক মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকার মোহাম্মদ রফিকের ছেলে শামসুল আলম। গত ৭ এপ্রিল মাঝিমাল্লা নিয়ে তিনি সাগরে মাছ ধরতে রওনা দেন। কিন্তু এরপর থেকেই ট্রলারসহ নিখোঁজ ছিলেন তারা। ট্রলারটি গত ২২ এপ্রিল বিকেলে নাজিরারটেক কূলের কাছাকাছি টেনে নিয়ে আসে আরেকটি মাছ ধরার ট্রলার। এরপর সেখানে ১০ মরদেহ পাওয়া যায়। ট্রলারে মরদেহগুলো বরফ ও মাছ রাখার স্টোরে হাত-পা বেঁধে ঢুকিয়ে দরজা পেরেক ঠুকে আটকে দেয়া হয়। পুলিশ ধারণা করছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। নিহত ১০ জনের মধ্যে ছয়জনেরই বাড়ি মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর মিঠাছড়ি এলাকায়। স্থানীয় মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবিরের মাধ্যমে ওই এলাকার পাঁচজন কিশোর সাগরে যায়। কিন্তু নুরুল কবির ছাড়া বাকি কিশোররা পেশায় জেলে ছিল না। হঠাৎ তারা কেন সাগরে মাছ ধরতে গেছে সেটিও কেউ বুঝে উঠতে পারছে না।

পুলিশের ভাষ্য, উদ্ধার মরদেহগুলোর শরীরের প্রায় ৯৫ শতাংশ গলে গেছে। এর ফলে তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তারপরও স্বজনদের মাধ্যমে শনাক্ত করে ছয়জনের মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ। বাকি চার মরদেহ এখনো মর্গেই রয়ে গেছে। স্বজনের দাবি মতে যে ১০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে, এরা হলেন মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম (২৩), শাপলাপুর ইউনিয়নের মিটাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), জাফর আলমের ছেলে সওকত উল্লাহ (১৮), মুসা আলীর ছেলে ওসমান গণি (১৭), সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির (২৮), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪), শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) ও চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়া (২৫)।

Facebook Comments Box

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ ©  নলডাঙ্গা বার্তা

 
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park