পলাশবাড়ীতে জাল সনদে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের অভিযোগ।
আমিরুল ইসলাম কবির, স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মাঠের বাজার আবু বক্কর ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসায় জাল সনদপত্র দিয়ে সুনীল কুমার দাস নামে এক ব্যক্তিকে নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে ওই মাদ্রাসার নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য মো. নাজমুল হক প্রধান,মো. আব্দুল মালেক মন্ডল,খয়বর সরদার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরারব অভিযোগ দাখিল করেছেন। আর এসব অভিযোগের কারনে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. সাইদুর রহমান সরকার গং কর্তৃক অভিযোগকারী অভিভাবক সদস্য নাজমুল হক প্রধানকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন। ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন।
অভিযোগ প্রকাশ,অত্র মাদ্রাসায় গত ২৩ জুন অত্যন্ত গোপনীয় ভাবে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় বিধান ২০১৯ নীতিমালা বহির্ভূত একটি নিয়োগ বোর্ড সংগঠিত হয়। উক্ত নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রী সুনীল কুমার নিরাপত্তা কর্মী পদে ও মিশু আক্তার’কে আয়া পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। কিন্তু ইতিপূর্বে গাইবান্ধা জেলা জজ আদালতে নিয়োগ সংক্রান্ত ২৩১/২০২২ ও মিস আপিল ৪৮/২০২২ মামলায় শ্রী সুনীল কুমারের ভূয়া সনদ ও পরিচ্ছন্নকর্মী পদের আবেদন পত্র আদালতে বিচারাধীন আছে।
অভিযোগে বলা হয় এই সুনীল কুমার একজন নিরক্ষর ব্যক্তি। অভিযোগকারীরা শ্রী সুনীল কুমারের সনদ পত্র যাচাই বাছাই করে উক্ত নিয়োগ বোর্ড বাতিল পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানান। অভিযোগকারীরা অভিযোগ পত্রের সাথে পরিচ্ছন্নকর্মী পদে সুনীল কুমারের আগের আবেদন পত্র,২৩১/২০২২ মামলার ফিরিস্তি ফটোকপি,সুনীল কুমারের বিদ্যালয় পরিত্যাগের ছাড়পত্র,বিদ্যালয় কর্তৃক ভূয়া সনদের প্রত্যয়ন পত্র,আদালত কর্তৃক সংবাদ জানিবার দরখাস্তের ফটোকপিও সংযুক্ত করেন।
নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে নিয়োগ পাওয়া সুনীল কুমার দাস বলেন, মুরারীপুর ওসমান গনি উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছি, সেখান হতে বিদ্যালয়ের ছাড়পত্র পেয়েছি৷ আমার ছাড়পত্র সঠিক আছে। তবে মুরারীপুর ওসমান গণি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাড়পত্রে থাকা প্রধান শিক্ষক আবু মো. শাহীনুর আলম তরফদারের স্বাক্ষরের সাথে না মিললেও উক্ত ছাড়পত্র ভূয়া বা জাল হিসাবে দেওয়া প্রত্যায়ন পত্রের স্বাক্ষর সঠিক রয়েছে হিসাবে প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অত্র মাদ্রাসা অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান সরকার বলেন,আমার কিছু বলার নাই,কোন অভিযোগ যদি থাকে তাহলে অভিযোগকারীরা আদালতের মাধ্যমে নিয়োগ বাতিল করুক। অভিযোগকারীরা সঠিক ভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত করে উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অপরদিকে,বিভিন্ন দপ্তরে এসব অভিযোগের কারণে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান সরকার অভিযোগকারী নাজমুল হক প্রধানকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করায় তিনি ভীতসন্ত্রস্ত সহ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। ফলে ভুক্তভোগী নাজমুল হক প্রধান ৫ আগস্ট এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের নানাবিধ অনিয়ম,দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ © নলডাঙ্গা বার্তা