বঙ্গমাতার শুভ জন্মদিনে, হৃদয়নিংড়ানো শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা !
খন্দকার ছদরুজ্জামান, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
কন্যা-জায়া -জননী রূপে নারী নিজেকে সার্থক করে তুলতে পারাটা বেশ কঠিন কাজ।আর সে কাজ করার পাশাপাশি দেশের জন্য নিজের স্বামী, সন্তান, পরিবার পরিজনকে লড়াই করতে এতটুকু পিছ’পা হয়নি অদম্য সাহসী নারী বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা। রাজনৈতিক স্বামীর সহযোদ্ধা হয়ে দলের নেতা কর্মীদের আগলে রেখেছেন সর্বক্ষণ। তার সুশিক্ষা, রাজনৈতিক বোধ, দেশপ্রেম তিনি গ্রোথিত করেছেন সন্তানদের মাঝে।আর সে কারনে বাংলাদেশ ও বাংলার জনগণ অশ্রুসিক্ত নয়নে সশ্রদ্ধে স্মরণ করে জাতির পিতার জায়া বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে প্রতিনিয়ত। কারন বাঙালী নারীদের কাছে তিনি অদম্য সাহসী এক নারীর প্রতীক ।
গ্রামে জন্ম হওয়া একজন সাধারণ নারী আমার মা, ক্লাস ফোর-ফাইভ পর্যন্ত পড়েছেন মিশনারি স্কুলে। কিন্তু কী যে প্রজ্ঞা, কী যে তার ধৈর্য্য। আমার মায়ের কাছে আমাদের যে জিনিসটা সবার আগে শেখা উচিত, তা হলো ধৈর্য্য আর সাহস। সবাইকে এক করে রাখা। এতগুলো লোক বাড়িতে খাচ্ছে, দাচ্ছে, আমাদের গ্রামে কোন মেয়ে ম্যাট্রিক পাস করেছে, তাকে এনে ঢাকায় কলেজে ভর্তি করে দাও, কাকে বিয়ে দিতে হবে! সব সামলাচ্ছেন। এর মধ্যে আমাদের সকালে কোরআন শরিফ পড়া শেখাতে মৌলভি সাহেব আসছেন, তারপর নাচ শিখছি, সেতার শিখছি, বেহালা শিখছি -সব কিন্তু মায়ের সিদ্ধান্ত। কিন্তু তার নিজের বয়স কত! আমার তো মনে হয়, আমার মা কি কোনো দিন তাঁর শৈশবে কিংবা কৈশোরে একটা ফিতা বা রঙিন চুড়ি চেয়েছেন কারও কাছে! মা-ই তো সব থেকে বঞ্চিত ছিলেন। অথচ তিনি হাসিমুখে সব সামলাচ্ছেন। শেখ রেহানা।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ © নলডাঙ্গা বার্তা